চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় এসে পৌঁছান পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট।
বিমানবন্দরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
জোসে রামোস হোর্তা ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন। তার সফরে অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হবে। এছাড়া তার সফরকালে ঢাকায় পূর্ব তিমুরের অনারারি কনস্যুলেট খোলার বিষয়ে ঘোষণা আসবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট সফরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি। আর দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক।
হোর্তার সফরকালে বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তে অনারারি কনস্যুলেট খোলার বিষয়ে ঘোষণা আসবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। তিনি জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিমুর লেস্তের একজন তরুণ কূটনীতিককে বছরব্যাপী বিশেষ কূটনীতিক প্রশিক্ষণ কোর্স এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতির ওপর প্রফেশনাল মাস্টার্স ২০২৫-এ অংশগ্রহণের জন্য বৃত্তি প্রদান করেছে। কূটনৈতিক প্রশিক্ষণটি ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে।
জসীম উদ্দিন বলেন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সফরের দ্বিতীয় দিন ১৫ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি হোর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন। এর পরপরই দুদেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান পরিষেবা, সাংস্কৃতিক বিনিময়, শিক্ষা, পেশাদার ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) এবং ক্ষুদ্র অর্থ ও ক্ষুদ্রঋণ সহ দারিদ্র বিমোচনের বিষয়ে চুক্তি/সমঝোতা স্মারক /সমঝোতা সহযোগিতা স্বাক্ষররে সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হবে।